মোহাম্মদ জুবাইর চট্টগ্রাম।
র্যাব-৭ কর্তৃক কক্সবাজারের পেকুয়ায় দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে অস্ত্র তৈরির কারখানাসহ ০৮টি অস্ত্র উদ্ধার ও ০৩ জন অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানা এলাকার পাহাড়ে একটি অস্ত্র কারখানায় কতিপয় দুস্কৃতিকারী অবৈধভাবে অস্ত্র তৈরী করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের পেকুয়ার পাহাড়ি এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত আবদুল হামিদের অস্ত্র তৈরির কারখানায় টানা দুদিন অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও ৮টি ওয়ানশুটারগান উদ্ধার করে।
অভিযানে পেকুয়া টৈটংস্থ ঝুম পাড়া পাহাড়ী এলাকাস্থ গহীন অরণ্য থেকে অস্ত্র তৈরির মূল কারিগর আসামী ১। মোঃ আমিরুল কবির (৪২)২। ইমাম হোসেন (২৬) ৩। আব্দুল গফুর (৩৩) কক্সবাজারদের আটক করে। উপকূলের শীর্ষ জলদস্যু পেকুয়ার কবির আটক হওয়ার পর তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে টৈটংয়ের পাহাড়ি এলাকা ঝুম পাড়ায় ডাকাত আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি অস্ত্র কারখানার সান্ধানে নামে র্যাব-৭ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল।
এ সময় উক্ত এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে হামিদের বাড়ি থেকে আটটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে র্যাব, তাদের তথ্যের ভিত্তিতে দেশীয় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
উল্লেখ্য যে, গত ২১ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ বাঁশখালী-পেকুয়া-কুতুবদিয়া এলাকার কুখ্যাত জলদস্যূ কবীর বাহিনীর প্রধান নূরুল কবীর, সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুন ও তাদের ১৩ সহযোগী বিপুল পরিমান দেশী-বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্রসহ র্যাবের হাতে আটক।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত এলাকায় পাহাড়ে উক্ত অস্ত্র কারখানায় অবৈধভাবে অস্ত্র তৈরী করে পরবর্তীতে কক্সাবাজার জেলার বিভিন্ন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কাছে ক্রয়-বিক্রয় করছে। এছাড়াও তাদের তৈরীকৃত অবৈধ অস্ত্র দিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply